দোহারে জিকির করা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ 

মহিউল ইসলাম পলাশ দোহার (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
ঢাকার দোহার উপজেলার বিলাশপুর ইউনিয়নের রাধানগর খাজার হাট-বাজার সংলগ্ন শিকদার বাড়ির জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের সাথে মুসল্লী আব্দুল হক মোল্লার ছেলে মনির মোল্লার  জিকির করা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে মনির মোল্লা কে মারধর ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বলে অভিযোগ উঠেছে ঐ মসজিদের মোয়াজ্জেম মো. নূর হোসেনের বিরুদ্ধে। তিনি মনির মোল্লার মাথায় দেয়া নবীর সুন্নাত টুপি খুলে নিয়ে তার পুরুষ অঙ্গে ও বায়ু পথে ঘষে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয় বলে জানা যায়। এনিয়ে খোব্ধ এলাকাবাসী।
(২৯ মে) শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,  ঐ মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মৃত গনি শিকদারের ছেলে মো. আক্কাস শিকদার ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবারের। বিষয়টি এখন টপ অপ দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। এনিয়ে ধমধমে অবস্থা বিরাজ করছে ঐ এলাকায়।
এবিষয়ে আক্কাস শিকদারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত ১৮ মে আমার মসজিদের দায়িত্বে থাকা নূর হোসেনকে মনির মোল্লা জিকির করতে নিশেধ করে। এনিয়ে দুজনের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরের দিন বিকেলে মনিরের সাথে কথা বলার সময় দুজনে আবার উত্তেজিত হয়ে মারামারি লাগিয়ে দেয়। এসময় আমি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য মনির ও নূর হোসেন কে চর মেরেছি। এবং তিনি এটিও স্বীকার করেন যে, নূর হোসেন মনির মোল্লার টুপি নিয়ে এঘটনা ঘটিয়েছে। তাই তিনি মোয়াজ্জেম নূর হোসেন কে মসজিদ থেকে বিদায় করে দিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নূর হোসেন একজন গরু চোর ছিলেন। তিনি লেখা পড়া কিছু জানেন না। তার পরেও আক্কাস শিকদার তাকে মোয়াজ্জেম হিসেবে মসজিদে রেখেছেন৷ এবং তার পক্ষ নিয়ে একটি নিরীহ ছেলে কে পিটিয়েছেন। এছাড়া ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারীর পক্ষ নিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী মনির মোল্লা, এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদৈর্শী দাদন মোল্লা, আব্দুল খালেক, পাষান খলিফাসহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন, ২৪ রমজান সেহরির সময় সঠিক ভাবে শুনতে পারছিলাম না, নূর হোসেনের মাইকে জিকির করার জন্য। তিনি সেহরির সময় কতটুকু বাকী আছে তা না বলে শুধু জিকির করতে ছিল। তাই মনির মোল্লা নূর হোসেনকে সেহরির সময় জিকির করতে নিশেধ করে এবং সেহরির পরে জিকির করতে বলাতে তিনি রেগে যায়।
১৯ মে বিকেল ৫ টার দিকে মনির মোল্লাকে আক্কাস শিকদার ও নূর হোসেন ডেকে নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে কিল, ঘুষি, লাথি ও জুতা দিয়ে পেটিয়ে নীলা, ফুলা জখম করে এবং মনিরের মাথায় দেয়া নবীর সুন্নাত টুপি ছিনিয়ে নিয়ে নূর হোসেন পুরুষ অঙ্গে ও বায়ু পথে ঘষে মাটিতে ছুড়ে ফেলে। এ ঘটনায় ঐ এলাকার মুসল্লীদের মনে খোবের সৃষ্টি হয়েছে।
এবিষয়ে ২৯ মে শুক্রবার বিকেলে সালিশ হওয়ার কথা থাকলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফরোজা আক্তার রিবা এই করোনা পরিস্থিতিতে সময় না দিতে পারায় সালিশ করা  হয়নি বলে জানান তিনি। তবে দুই, একদিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধাণ করে দিবেন বলেও তিনি বলেন।

আপনি আরও পড়তে পারেন